আজ ২৩ জুন, আজ চিন্তক ও শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিন। ১৯৩৬ সালের আজকেরই এই দিনে তিনি ঢাকার বিক্রমপুর উপজেলায় বাড়ৈখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। বাক্স্বাধীনতা, মানবিক অধিকার, পরিবেশ সুরক্ষা, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচার বিষয়ক আন্দোলনের পুরোধা তিনি। দীর্ঘকাল তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ, প্রগতিশীল ও মুক্তমনা এই লেখক। নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ১৯৮০-এর দশকে ‘গাছপাথর’ ছদ্মনামে তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সাপ্তাহিক প্রতিবেদন লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। শিক্ষায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, আম্বেষণ (১৯৬৪), Introducing Nazrul Islam (১৯৬৫), দ্বিতীয় ভুবন (১৯৭৩), নিরাশ্রয় গৃহী (১৯৭৩), আরণ্যক দৃশ্যাবলী (১৯৭৪), অনতিক্রান্ত বৃত্ত (১৯৭৪), The Moral Imagination of Joseph Conrad (১৯৭৪), প্রতিক্রিয়াশীলতা, আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যে (১৯৭৫), শরৎপন্দ্র ও সামন্তবাদ (১৯৭৫), The Enemy Territory (১৯৭৬), আমার পিতার মুখ (১৯৭৬), বঙ্কিমচন্দ্রের জমিদার ও কৃষক (১৯৭৬), কুমুর বন্ধন (১৯৭৭), উপরকাঠামোর ভেতরই (১৯৭৭), বেকনের মৌমাছিরা (১৯৭৮), স্বাধীনতা ও সংস্কৃতি (১৯৭৯), একই সমতলে (১৯৮০), ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা গদ্যের সামাজিক ব্যাকরণ (১৯৮০), স্বাধীনতার স্পৃহা, সাম্যের ভয় (১৯৮১), বাঙালী কাকে বলি (১৯৮২), বাঙালীকে কে বাঁচাবে (১৯৮৩), বৃত্তের ভাঙা-গড়া (১৯৮৪), টলস্টয় অনেক প্রসঙ্গের কযেকটি (১৯৮৫), নেতা, জনতা ও রাজনীতি (১৯৮৬), গণতন্ত্রের পক্ষ-বিপক্ষ (১৯৮৭), শেষ মীমাংসার আগে (১৯৮৮), উদ্যানে এবং উদ্যানের বাইরে (১৯৮৯), শ্রেণী, সময় ও সাহিত্য (১৯৯০), স্বপ্নের আলো ছায়া (১৯৯১), কেউ বলে বৃক্ষ, কেউ বলে নদী (১৯৯০), দ্বিজাতিতত্ত্বের সত্য-মিথ্যা (১৯৯২), লেনিন কেন জরুরী (১৯৯২), আপনজন (১৯৯৪), অপরিচিত নেতা, পরিচিত দুর্বৃত্ত (১৯৯৪), বাঙালীর জয়-পরাজয় (১৯৯৪), লিঙ্কনের বিষণ্ণ মুখ (১৯৯৪), রাষ্ট্রের মালিকানা (১৯৯৭), উপনিবেশের সংস্কৃতি (১৯৯৮), শেক্সপীয়রের মেয়েরা (১৯৯৯), বাঙালীর জাতীয়তাবাদ (২০০০), বাঙালীর সময়-অসময় (২০০০), ধ্রুপদী নায়িকাদের কয়েকজন (২০০০), পুঁজিবাদের দুঃশাসন (২০০১), আত্মপ্রতিকৃতি নয় (২০০২), দ্বন্দ্বের মেরুকরণ (২০০৬) ও গণতন্ত্রের সন্ধানে (২০০৬)।