তার নাকি রাত নেই
রাতগুলো চুরি হয়ে গেছে নিঃশর্তে দিনের আড়ালে।
দেখোনি গতকাল শূন্যতা কত প্রগাঢ় কঁকিয়েছে।
তুমি পেতে দিয়েছিলে অসচ্ছল বিছানা।
সে ঘুমায়নি।
চাঁদ এসে শিথানে বসেছে।
সে ঘুমায়নি।
সূর্য এসে ফিরে গেছে, সে ঘুমায়নি।
তার নাকি রাত নেই। যা আছে লেলিহান শিখা।
অষ্টাদশী রোদ
নগরীর ট্রাফিক সিগন্যালে রোদ এখন অষ্টাদশী,
উন্মাদনার ঝড়ে থ্যাবড়ে যাচ্ছে মৌন-উদ্যান।
ও রোদ সারদের তারে বাজেনি,
পারদের প্রেমে ঘামেনি;
নিকোনো দুয়ার থেকে আসেনি;
কঙ্কালসার সংসারে বাঁক নিয়ে বিগত বছর—
সিগন্যাল সিগন্যালে ছিল জ্যামিতিক।
ওভার ব্রিজ পেরিয়ে গেলে বৃষ্টির মতো,
তেল-নুন ঝুল-ঝুলে নিরেট সাংসারিক।
তাকে চেখে দু’বেলা নেচে ওঠে ঠাণ্ডা হাওড়।
আহা রোদ! যদি চাও হলফনামায়
লেখা হবে লাঙল-জোয়ালের প্রস্তুতি।
মিনাদি
মিনাদি
এই শহরটা স্তব্ধ, নিথর,
কাপড় শুকোয়নি আজ অব্দি কোনো ছাদ,
কোথাও হয়নি ভোর, অধবোঁজা ছিল না কোনো চোখ,
ঘুমের কথা ভুলে ছিল ঘুঙুর, কোদাল-জীবন,
গন্তব্যের তাড়াহীন অন্ধ বাদুড়;
অথচ, বনঘুঘুর ডানার আড়ালে সূর্যোদয় হয়েছিল।
মিনাদি,
অভিভাবক চলে গেলে এমন বুঝি হয়—
খানকা শরিফে নেচে ওঠে ক্ষীণকায় মোমের ছায়া?
কারখানা বন্ধ হয়ে যায়,
কর্ম-শিল্পীরা হয়ে ওঠে শোকার্ত বার্নইউনিট?