আজ ২৫ জুন, আজ কবি আবু হাসান শাহরিয়ারের জন্মদিন। ১৯৫৯ সালের আজকের এইদিনি তিনি সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
তার শৈশব কেটেছে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও ঢাকা শহরে। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছায় ১৯৭০-এর শেষভাগে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসাশাস্ত্র তাকে বেশি দিন আকর্ষণ করে রাখতে পারেনি। তিনি এক বছর পড়ার পর সেখানে ইস্তফা দেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন।
পেশাগত জীবনে তিনি একসময় বেক্সিমকোগ্রুপ প্রতিষ্ঠিত দৈনিক মুক্তকণ্ঠের সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। এরপর দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দীর্ঘকাল সাহিত্য সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। ২০১২ সালে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় সম্পাদক পদে যোগ দেন। দুবছর চাকরি করার পর সেখানেও তিনি ইস্তফা দেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ অন্তহীন মায়াবী ভ্রমণ (১৯৮৬); অব্যর্থ আঙুল (১৯৯০); তোমার কাছে যাই না তবে যাব (১৯৯৬); একলব্যের পুনরুত্থান(১৯৯৯); নিরন্তরের ষষ্ঠীপদী (১৯৯৯); এ বছর পাখিবন্যা হবে (২০০০); ফিরে আসা হরপ্পার চাঁদ (২০০১); হাটে গেছে জড়বস্তুবাদ (২০০৩); সে থাকে বিস্তর মনে বিশদ পরানে (২০০৪); বালিকা আশ্রম (২০০৫), অসময়ে নদী ডাকে, কিছুদৃশ্য অকারণে প্রিয়। এছাড়া প্রবন্ধ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে কিশোর কবিতা: পায়ে নূপুর (১৯৮৪); ভর দুপুরে অনেক দূরে (১৯৮৭); আয়রে আমার ছেলেবেলা (১৯৯৮)। ছোটগল্প: আসমানী সাবান (১৯৮১)। প্রবন্ধ-গবেষণা: কালের কবিতা কালান্তরের কবিতা (২০০০); কবিতার প্রান্তকথা (২০০১); অর্ধসত্য (২০০৩); কবিতার বীজতলা; কবিতা অকবিতা অল্পকবিতা (২০০৪); সমাত্মজীবনী: মিডিয়া ও প্রতিমিডিয়া (২০০৪); কবিতার সঙ্গে কথোপকথন (২০০১)। আমরা একসঙ্গে হেঁটেছিলাম। সমালোচনা: উদোরপি-পিণ্ডি (১৯৯০)। সম্পাদনা: প্রামাণ্য শামসুর রাহমান (১৯৮৪); জীবনানন্দ দাশের গ্রন্থিত-অগ্রন্থিত কবিতাসমগ্র (২০০৩); জীবনানন্দ দাশ: মূল্যায়ন ও পাঠোদ্ধার (২০০৩); রূপসী বাংলা (২০০৩); বনলতা সেন (২০০৪); জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০০৬); জীবনানন্দ দাশের গ্রন্থিত-অগ্রন্থিত প্রেমের কবিতা (২০০৬)। কবিতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার।