কাজী জহিরুল ইসলামের দুটি গ্রন্থের পাঠোন্মোচন হয়ে গেলো নিউ ইয়র্কে। ‘কবিতা সমগ্র-২’-এর পাঠোন্মোচন করেন কথাসাহিত্যিক জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত। ভ্রমণরচনাগ্রন্থ ‘উড়ালগল্প’-এর পাঠোন্মোচন করেন কথাসাহিত্যিক-প্রাবন্ধিক পূরবী বসু। বুধবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় এই পাঠোন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শামীম আল আমিনের সাবলীল উপস্থাপনায় এই নান্দনিক সন্ধ্যায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. আবেদীন কাদের, ঊনসত্তরের গণআন্দোলন কর্মী ও ছড়াকার শাহ আলম দুলাল, বর্ষীয়ান সঙ্গীতজ্ঞ মুত্তালিব বিশ্বাস, শিল্পী জীবন বিশ্বাস, ভাষা আন্দোলন গবেষক ওবায়েদুল্লাহ মামুন, লেখক নাজমুন নেসা পিয়ারি, নজরুল একাডেমীর ট্রেজারার রুমা দিলরুবা আলম, নজরুল একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক শিরিন আখতার, ঊনবাঙালের সমন্বয়কারী ও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পেশাজীবী মুক্তি জহির, প্রকাশনা সংস্থা নালন্দার স্বত্বাধিকারী রেদোয়ানুর রহমান জুয়েল ও কাজী জহিরুল ইসলাম।
জ্যোতি প্রকাশ দত্ত ও পূরবী বসু বলেন, কাজী জহিরুল ইসলামের লেখক সত্তা গতিশীলতা। সাহিত্যের সব শাখায় তার বিচরণ অবাধ ও সাবলীল, লিখছেন দুই হাতে, ক্রমাগত বই বের হচ্ছে, এমন সচল লেখক আমাদের দরকার। দুজনেই লেখকের সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। ড. আবেদীন কাদের বলেন, আমি এমনিতেই পড়াশোনার ব্যাপারে খুব সিলেক্টিভ, আমার কোনো কোনো বন্ধু কাজী জহিরুল ইসলামের লেখালেখির গুণগত মান সম্পর্কে আমাকে মিসগাইড করেছিলেন। একদিন আমার কলেজের বন্ধু ড. মাহবুব হাসান বললেন, কাজী খুব ভালো কবিতা লেখেন, পড়ে দেখতে পারেন। সেই থেকে পড়তে শুরু করি এবং আবিষ্কার করি একজন বড় মাপের কবিকে। ছড়াকার শাহ আলম দুলাল বলেন, তার সবই আমার ভালো লাগে, কবিতা, ভ্রমণ, গল্প।
কাজী জহিরুল ইসলামের ভ্রমণ সাহিত্যের প্রশংসা করে লেখক নাজমুন নেসা পিয়ারি বলেন, যে ভ্রমণ গ্রন্থটির আজ আনুষ্ঠানিক পাঠোন্মোচন হলো, দুদিন আগে ঠিক এই বইটিই আমি নিউ ইয়র্ক বইমেলা থেকে কিনেছি। তার সাহিত্য কর্মের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটেছে ফেসবুকের মাধ্যমে, এখন আমি অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে তার লেখা নিয়মিত পাঠ করি।
মুত্তালিব বিশ্বাস বলেন, তিনি শুধু একজন বড় মাপের লেখকই নন, একজন আঁকিয়েও। মাঝে মাঝে ফেসবুকে আমি তার আঁকা ছবি দেখি, দেখেই মনে হয় কি যেন আছে তার মধ্যে। তিনি একজন ন্যাচারাল পোয়েট।