বইমেলায় আসছে কবি-কথাশিল্পী নাহিদা নাহিদের দ্বিতীয় গল্পের বই ‘যূথচারী আঁধারের গল্প’। বইটির প্রকাশক জেব্রাক্রসিং। প্রচ্ছদ শিল্পী সারাজাত সৌম্য।
বইটিতে স্থান পেয়েছে মোট বারোটি গল্প। এগুলো হলো: হলুদ ট্রেন, দ্বৈরথে বিভোল ঘুম, শরীর, নিঃসঙ্গ পুরুষ, মৃত্যু পদযাত্রা, সরাইখানা, বিষহরীর প্রথম যৌবন, মুসাফির, কেউ ফিরে আসেনি, নির্মোক, দাসমানুষ, হিরামন।
এই বই সম্পর্কে লেখকের ভাষ্য, আমাদের মগজ কামড়ে খাওয়া জন্তুর দলের মতো ধেয়ে আসা অন্ধকারে, অস্বাভাবিক ঘটনার পরম্পরায়, ঘৃণার বীজের মহীরুহ হয়ে ওঠার ফল হিসেবে রক্তাক্ত হয় সময়। অভাব হয় আলোর, প্রেমে আততায়ী হয়ে ঢুকে পড়ে মরুভূমির শুষ্কতা। ক্রমশ ক্ষয়ে যেতে থাকা সময়ে আমাদের মনে হয়, তৃপ্তির মন্ত্র লুকোনো আছে স্বেচ্ছামরণে। কখনো ঘটে এর উল্টোটাও। অসহ্য সুন্দরকে ধারণ করতে না পারার ব্যর্থতায় অক্ষম আক্রোশে আমরা পুড়িয়ে দেই মায়া, প্রেম, স্নেহ। বলা যেতে পারে, এসব অনুভূতির শেষ সমাধানের নাম মৃত্যু। আমার বারোটি মৃত্যু বিষয়ক অতিপ্রাকৃত গল্প এই যূথচারী আঁধারের গল্প। এখানে মৃত্যুর মতো সহজসত্য কিংবা হত্যা /আত্মহত্যার মতো অস্বাভাবিক ঘটনাগুলোর কোন রগরগে বর্ণনা নেই, চমক নেই, আছে এই অসরলরৈখিক চিন্তার পেছনের স্মৃতি বা বিস্মৃতি। আমরা সবাই বুকের ভেতর যতন করে পুষে রাখি অন্ধকারের হরেক রকম নিঃসঙ্গতার প্রণয়পাশে কাল কাটাই একান্ত। নিজের ভেতরে অসহনীয় ঘৃণা আর রক্তাক্ত আত্মার বিকৃত কান্নার প্রকাশহীন অভিব্যক্তিতে যে সকল মানুষ চারপাশে ঘুরে বেড়ায়, দ্বিধা-সংশয়ে কাল কাটায় আমার গল্পের চরিত্ররা। হতে পারি সে মানুষটি আমি বা আপনি। যূথচারী আঁধারের গল্পের পাঠচিত্রে চলুন খুঁজে দেখি আপন আঁধারের ছায়াচিত্র।