অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসছে তরুণ কথাশিল্পী মোস্তফা অভির গল্পের বই বাজপাখির পুনর্জন্ম। প্রকাশক জেব্রাক্রসিং।
মোস্তফা অভি সম্পর্কে কবি-প্রাবন্ধিক আল মাকসুদের ভাষ্য, ‘মোস্তফা অভিকে গল্পকার না বলে বলি আখ্যান বয়ানকারী। গল্পশরীরের গ্রন্থি উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পাঠককে টেনে নিয়ে যান তার তৃষিত আকাঙ্ক্ষার গন্তব্যসীমায়। সাহিত্যের জমিনে তার নব আগমন কোনো অর্বাচীনতার ভীরু আগমন নয়। কোথাও কোথাও অতিদৈবিকতাকে ধারণ করেও অনাঘ্রাতা স্বাদের অনুভূতি নিয়ে হাজির হয় তার গল্প পাঠকের উষ্ণ মনঃপ্রাণে। বিষয়বৈচিত্র্যের নির্মাণকলায় নিবিড় আত্মমগ্নতা পাঠকের গল্পকার হওয়ার প্রচেষ্টায় তিনি অনন্য। গল্পের শিরোনাম নির্বাচন থেকে শুরু করে, এর প্লট ও চিত্রায়ণশৈলী তার শ্রমনিষ্ঠাকে যেমন স্মরণ করিয়ে দেয়, তেমনি আগামীর একটি অনিবার্য আখ্যানসরণিও প্রশস্ত হয়ে ওঠে সকল বাধা ছাপিয়ে; এ কথাও তার গল্প পাঠান্তে বলা যায় নির্দ্বিধায়। শুধু চকচকে নগরজীবন নয়, গ্রামবিধৌত মধ্যবিত্তজ জনজীবনের কথাও তার গল্পে বাঙ্ময় হয়ে ওঠে। নারীর বেদনাবোধ তার অন্তর্বীক্ষণের আলোয় যেভাবে উদ্ভাসিত হয়, তা শুধু সংবেদনশীল পাঠকের মননকেই নাড়া দেয় না, কারও কারও দৃষ্টিবিন্দুকেও উন্মোচিত করে দেয়। আবার গল্পের আড়ালে উত্তম পুরুষের লেখক কখনো কখনো পাঠকের সহানুভূতি পেয়েও ক্ষোভের শিকার থেকেও বিমুক্ত হতে ব্যর্থ হবে, এ কথাও এখানে বলে রাখি। লেখক বুঝি এখানে এসেই ঠোঁটের কোণে জমিয়ে রাখে তার অনুক্ত কথার রহস্যময় হাসি। এ কথা সত্য, সমালোচনার অমসৃণ পথে এ সাহিত্যস্রষ্টার হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও প্রিয় পাঠকের কোমল বিশ্বাসে প্রতিনিয়ত রেখাপাত করার অবিমোচ্য আনন্দদানের আত্মপ্রতীতি তাকে যেন প্রবল নিঃসংশয়বাদী করে তুলেছে। প্রথম গ্রন্থেই পাঠককে ভিন্ন আস্বাদের প্রত্যয়ে নিবিষ্ট এই লেখকের চলার পথ শুভ হোক।’