‘শুদ্ধ শিল্পের নিবিড় চর্চা’ স্লোগান নিয়ে ঊনবাঙালের ১৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো নিউ ইয়র্কের হলিসউডে। গত শনিবার (২ জুন) গল্প, কবিতা, ছড়া পাঠ ও পঠিত বিষয়গুলোর ওপর আলোচনা ছাড়াও অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে একটি আলোচনা পর্ব ছিল।
এতে আলোচনা করেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক আমিনুর রহমান খান ইউসুফজাঈ, নজরুল একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম দুলাল, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী সৈয়দ ফজলুর রহমান, ঊনবাঙাল-এর সমন্বয়কারী মুক্তি জহির, নজরুল একাডেমির কোষাধ্যক্ষ রুমা দিলরুবা আলম প্রমুখ।
বক্তারা বিভিন্ন দেশে অবস্থানের সময়ে অর্জিত অভিজ্ঞতার বরাত দিয়ে বিশ্ব-পরিবেশ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। পানিই যে আগামী দিনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ বলে বিবেচিত হবে এবং পানির জন্য দেশে দেশে যুদ্ধ বিগ্রহ লেগে যেতে পারে, এই আশঙ্কার কথাও আলোচনায় উঠে আসে। লেখকেরা তাদের লেখার মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে পরিবেশ রক্ষায় সচেতন করে তুলতে পারেন। লেখকেরা যে পরিবেশ রক্ষায় অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন, এ বিষয়ে সবাই একমত হয়ে তাদের আগামী দিনের রচনায় বিষয়টির প্রতি আরও যত্নবান হবেন হওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
কাজী জহিরুল ইসলাম তার সুদানে অবস্থানের সময়ে দেখা অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, দারফুরের জুগজুগ গ্রামে এক গৃহের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছি, মহিলারা বালু দিয়ে হাড়ি-পাতিল পরিষ্কার করছেন। তরিতরকারির ঝোল–ময়লা বালু দিয়ে ঘষে সাফ করে পাত্রটি রোদে রেখে দিচ্ছেন, শুকিয়ে গেলে একটি ন্যাকড়া দিয়ে বালুটা মুছে ফেলছেন, ব্যস, এভাবেই পানিছাড়া ওরা বছরের পর বছর কাজ করছেন। আফ্রিকার অনেক জায়গায় প্রাকৃতিক পানির দখল নিতে গোত্রের সঙ্গে গোত্রের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হচ্ছে।
বক্তারা পানির অপচয় বন্ধ করা, কাগজের ব্যবহার কম করা, ঘন ঘন সেল ফোনসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস না বদলানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে একটি গল্প, বেশ কিছু ছড়া ও কবিতা পাঠ করা হয়। পঠিত লেখাগুলোর ওপর আলোচনা করেন আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু। কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা আবৃত্তি করে শোনান বাচিক শিল্পী নজরুল কবীর। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শামীম আল আমিন।