গিরীশ গৈরিকের একক কবিতাসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকা ‘নবাঙ্কুর’-এর উদ্যোগে সোমবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই একক কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কবি গিরিশ গৈরিককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর চিত্রশিল্পী পলাশ চৌধুরী তার আঁকা গিরীশ গৈরিকের একটি পোট্রেট কবির হাতে তুলে দেন। কবির কবিতা ও শিল্পজীবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন কবি ও প্রাবন্ধিক তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘গিরীশ গৈরিকের কবিতায় এক মোহময় জগৎ আছে। আমি মা সিরিজের কবিতা পড়তে পড়তে প্রতিনিয়ত ভেবেছি, হৃদয়ের কত গভীর থেকে অনুভূতির স্রোত উঠে এলে এমন কবিতা লেখা যায়।’
কবি ও নবাঙ্কুর পত্রিকার সম্পাদক তন্ময় মণ্ডল বলেন, ‘সম্ভবত কলকাতায় এই প্রথম বাংলাদেশের এই প্রজন্মের কোনো কবির একক কবিতাসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হলো। দু’দেশের মাঝখানে যতই কাটাতারের প্রাচীর থাকুক না কেন, ভাষার বন্ধন তো অন্তরের। তাই এই অন্তরের বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এপার বাংলা-ওপার বাংলার কবিদের যাতায়াত এবং তাদের শিল্প-ভাবনার আদান-প্রদান খুব জরুরি।’
দুটি পর্বে কবি তার একক কবিতা পাঠ করেন। প্রথম পর্বে মা সিরিজ থেকে তিনি কবিতা শোনান। সেই সঙ্গে কথা বলেন কবিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।কবিতা প্রসঙ্গে কবি গিরীশ গৈরিক বলেন তার কবিতা নিতান্তই সাদামাটা। আকাশের মতো বর্ণিলতবে দৃশ্যমান সেই রঙের লুকোচুরি। তিনি আরো জানান, এমন কোনো কবিতা তিনি লিখতে চাননি, যা পাঠ করে পাঠক বুঝতে ব্যর্থ হন।
পরবর্তী পর্বে কবির সঙ্গে আলাপচারিতায় বাংলাদেশের প্রজন্মের কবিদের কবিতা সম্পর্কে ও তার কবিতা ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। এরপর ডোম কবিতা সিরিজ থেকে বেশ কয়েকটি কবিতা পাঠ করেন কবি।
শেষ পর্বে সুন্দরবন থেকে আসা সন্দীপ পাত্র ও কবি শান্তিময় মুখোপাধ্যায়ের গানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
কবি সৈকত ঘোষের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিতি ছিলেন কবি স্বরূপ মণ্ডল, কবি সেলিম মণ্ডল, কবি সৈকত সরকার, কবি প্রতীপ হালদার, কবি সোমনাথ আদক প্রমুখ।
তরুণ কবি গিরীশ গৈরিক-এর জন্ম ১৫ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া উপজেলায়। তিনি সাধারণ এক কৃষক পরিবারের সন্তান। তার ছেলেবেলা কেটেছে মধুমতির তীরে ঘুরে ফিরে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর করেন। তিনি বর্তমানে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন সাংবাদিকতা।