এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলার স্টল বরাদ্দে বাংলা একাডেমির বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেহুলাবাংলা প্রকাশনী। একইসঙ্গে ১১ জানুয়ারির মধ্যে স্টলবণ্টন পুনর্বিবেচনা করা না হলে ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেল চারটায় রাজধানীর কাটাবন কনকর্ডে অ্যাম্পোরিয়া অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বেহুলাবাংলার স্বত্বাধিকারী চন্দন চৌধুরী এই প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত চিলেন কবি গিরীশ গৈরিক, মাহবুব মিত্র, কবি ও নাট্যকার মাহফুজ রিপন।
বেহুলাবাংলার স্বত্বাধিকারী চন্দন চৌধুরী বলেন, এ বছর ৩টি স্টলের জন্য আবেদন করেও মাত্র একটি স্টল পাওয়া গেছে। আমাদের কমপক্ষে ২টি স্টল প্রয়োজন। তাই আগামী ১১ জানুয়ারির মধ্যে স্টলবণ্টন পুনর্বিবেচনা করা হোক। না হলে আমরা ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেব।
কবি গিরীশ গৈরিক বলেন, বেহুলাবাংলা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১০০ উপন্যাস প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। যার কাজ ২০২০ সালে শেষ হবে। এর আগেও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশ করেছে ৭১টি উপন্যাস। এছাড়া মেঘ প্রকাশনীও ৫০টির বেশি বই প্রকাশ করেছে। ৫০টি বই থাকলেই যেখানে স্টল পাওয়ার নিয়ম; সেখানে মেঘ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে টাপুরটুপুর প্রকাশনীরও অর্ধশতাধিক বই রয়েছে। তারাও কোনো স্টল বরাদ্দ পায়নি।
কবি মাহবুব মিত্র বলেন, তারুণ্যনির্ভর প্রকাশনাগুলো ঠিকভাবে ইউনিট পাচ্ছে না। অথচ এবার প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ১১টি থেকে বাড়িয়ে ২৫টি করা হয়েছে। তাহলে কি বইমেলা বুর্জোয়াদের হাতে চলে যাচ্ছে? যদি স্টল বাড়ানোর জায়গা না থাকে, তাহলে কিভাবে ২৫টি প্যাভিলিয়ন করা হয়?