আজ ২৮ ডিসেম্বর, আজ সঙ্গীতশিল্পী অণিমা মুক্তি গমেজের জন্মদিন। তিনি ভাওয়াইয়া, ধামাইল, ভাটিয়ালী, মাইজভাণ্ডারী, বিচ্ছেদী ও বাউল গান সাবলীল পরিবেশনায় দক্ষতা অর্জন করেছেন।
অণিমা নবাবগঞ্জের হাসনাবাদে সেন্ট ইউফ্রেজিস বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষিকা-শিল্পী মায়া গাঙ্গুলির কাছে সঙ্গীতের তালিম নেন। রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু হলেও পরে পল্লিগীতি তথা লোকসঙ্গীতের শিল্পী হিসেবেই প্রতিষ্ঠা অর্জন করেন। দীক্ষা নেন শিল্পী নীনা হামিদ ও ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর কাছেও।
এই শিল্পী লালন, রাধারমণ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, আলেপচান দেওয়ান, হাসন, জালালউদ্দিন, আবদুল লতিফ, আরকুম শাহ, দুরবিন শাহ, সৈয়দ শাহনূর, রমেশ শীল, জসীমউদ্দীন, আবদুল করীম, রজ্জব আলী দেওয়ান, মোহাম্মদ ওসমান খান, কালু শাহ, ভবা পাগলা, বিজয় সরকার, কানাইলাল শীল, পাগলা কানাই, আবদুল হালিম বয়াতী, শাহ আবদুল করিম, আবিদ আনোয়ার, আলম দেওয়ান, আরিফ দেওয়ান, হাসান মতিউর রহমান, তপন বাগচী প্রমুখের গান পরিবেশন করেন। আবুবকর সিদ্দিকের সঙ্গে ‘ইছামতীর তীরে’ এবং ‘এত রাতে কেন ডাক দিলি’ এবং এককভাবে ‘অপার হয়ে বসে আছি’ নামে অ্যালবাম জনপ্রিয় হয় (২০০১)। অন্য অ্যালবাম ‘সাগর কূলের নাইয়া’ (২০০২), ‘মনের মানুষ’ (২০০২), ‘বন্ধু দয়াময়’ (২০১২) এবং ‘উজান দেশের মাঝি’ (২০১৪)।
শিল্পকলা একাডেমি-র ‘রূপবান’ নৃত্যনাট্যে (১৯৯৬) ‘সাগর কূলের নাইয়া’ গানটির মাধ্যমে তিনি জাতীয় পর্যায়ে নন্দিত ও স্বীকৃত হন। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, ফিলিপাইন, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, উজবেকিস্তান, ইতালি, মিশর, ভুটান ও সৌদি আরবে তিনি পল্লিগীতি গেয়ে সুনাম অর্জন করেন।