আজ ৩০ মে। আজ কবি, নাট্যকার ও সাংবাদিক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের জন্মদিন। ১৯৫৮ সালের আজকের এই দিনে তিনি শেরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৫০টি। তিনি মূলত কবি হলেও শিল্প-সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণ করছেন। তাঁর কবিতায় গ্রাম বাংলা থেকে শুরু করে নগরায়ন, নাগরিক জীবন, জীবনের জটিলতা, প্রেম, পরবাস, পরাবাস্তব প্রভৃতি প্রতিফলিত হয়।
ছাত্রাবস্থায় দৈনিক ইত্তেফাকের মফস্বল সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতার জীবন শুরু। পরে দেশের বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৮০ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান। ১৯৯৬-এ খালেদা জিয়ার শাসনামলে (মে. জে. আনোয়ার কবীর তালুকদার কর্তৃক) বাধ্যতামূলক অবসর। তারপর স্বাধীনভাবে লেখালেখি, সম্পাদনা ও প্রকাশনার কাজে মনোনিবেশ। প্রবাসী বাঙালিদের জন্য নিউজ এজেন্সি ‘স্বরব্যঞ্জন’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রবাস থেকে প্রকাশিত (যুক্তরাষ্ট্র থেকে অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক প্রবাসী, সাপ্তাহিক আমার পক্ষে, মাসিক পরিচয়, সাহিত্য পত্রিকা আকার-ইকার, মাসিক অভিমত; কানাডার থেকে সাপ্তাহিক প্রবাস বাংলা, সাপ্তাহিক ঢাকা পোস্ট, পাক্ষিক দেশ দিগন্ত, মাসিক বাংলাদেশ, সাহিত্য পত্রিকা বাংলা জর্নাল; জাপানের মাসিক মানচিত্র, মাসিক আড্ডা টোকিও, বিবেক বার্তা; অস্ট্রেলিয়ার সাপ্তাহিক স্বদেশ বার্তা প্রভৃতি) পত্রিকার সাথে যুক্ত। টরেন্টো থেকে প্রকাশিত অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক বাংলা রিপোর্টারে প্রধান সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে দৈনিক ইত্তেফাকের কানাডার বিশেষ প্রতিনিধি।
এছাড়া বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন, একুশে টিভি, চ্যানেল আইসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। বিটিভির শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘দৃষ্টি ও সৃষ্টি’র উপস্থাপক। তাঁর লেখা বেশকিছু গান ও নাটক বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত নাটকসমূহ সাযযাদ আমিনের কথা, জাকির, সাদিকের জীবন ও সাহিত্য, বৃক্ষ বন্দনা, মুহম্মদ আলির চিঠি, ভালোবাসি ভালোবাসি, ওডারল্যান্ড, শাখা ও শেকড়, বৈশাখী ইত্যাদি। ‘ও ও বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’, ‘এ দেশ আমার মায়ের আরেক নাম’, ‘ঐ পতাকায় তাকিয়ে দেখি আমার মায়ের শ্যামলা মুখ’…সহ বেশ ক’টি জনপ্রিয় গানের রচয়িতা। ‘বর্তমানে কানাডায় ১৯৭১’ নিয়ে গবেষণা করছেন। প্রকাশক: স্বরব্যঞ্জন এবং পাঠশালা।
সূচিপত্র সাহিত্যপত্রের জন্য তিনবার মুক্তধারা একুশে পুরস্কার ১৯৮৭, ১৯৮৮ এবং ১৯৯২; শিল্প সাহিত্যে শেখ মুজিব গ্রন্থের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পুরস্কার ১৯৯৭, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পদক ১৯৯৬ ; জাপান থেকে বিবেক সাহিত্য পুরষ্কার ২০০৫, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাব্যশ্রী খেতাব ১৯৭৭ এবং মাইকেল মধুসূদন পদক ২০০৫ সালে।
বিটিভিতে উপস্থাপনা করেছেন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘দৃষ্টি ও সৃষ্টি’। প্রবাসের সংবাদপত্রের জন্য ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন নিউজ মিডিয়া ‘স্বরব্যঞ্জন’ এবং ‘পাঠশালা’ প্রকাশনা সংস্থা। শিল্প-সাহিত্যের সব শাখাই তিন দশক ধরে জড়িত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পঞ্চাশ। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- তৃষ্ণার্ত জলপরী, একি কা- পাতা নেই, নিদ্রার ভেতর জেগে থাকা, নির্জনে কেনো এতো কোলাহল, নীড়ে নিরুদ্দেশে, শিল্পসাহিত্যে শেখ মুজিব, কানাডায় যাবেন কেনো যাবেন, বীর বিচ্ছু, কাছের মানুষ দূরের মানুষ প্রভৃতি। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পদক, মাইকেল মধুসূদন দত্ত পুরষ্কার, মুক্তধারা সাহিত্য পুরষ্কার, সৈয়দ নজরুল ইসলাম পদকসহ অনেক সন্মাননা পেয়েছেন। এছাড়াও টরন্টোর অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক বাংলা রিপোর্টারের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে সপরিবারে কানাডায় বসবাস করছেন। সূত্র: উইকিপিডিয়া