মাহুত
এ তো সেই
বাঘ আর চিতাবাঘের
পরিবার পরিকল্পনার পার্থক্যের
সাবলীল ব্যাখ্যা
কল্পনার আন্তঃসগর সুতাটানা
ডুমুরের গাড়ি
কালাসুতায় ফোঁড় দেওয়া
দিনের পেট ছিঁড়ে পৌঁছে যায়
বিকালের সোনালি নাভিতে
প্রবঞ্চনার রাজকীয় হাতির পিঠের
মাহুত জানেন
গন্তব্যে পৌঁছার নিঃশব্দ ধাঁধার পথ
ঘর্ঘর ঘর্ষণ রথ নাই
কাঁটাগুল্ম হাতির বিপদ
বিরাট শরীর বিশাল বিপদে থামে
প্রখর রৌদ্রের ধারে মাহুতের ঘাম
অশেষ চোখের জল মিশে যায় রোদে
মাহুত আকাশমুখী
চোখ তার দূরেকার কোলাহল পথে
অনার বোর্ড
দেখুন অনার বোর্ডে
আমার নামটা নাই
সীমালেরা সীমারেখা নয়
পদ নাই পদবিও নাই
একজোড়া বয়সী পা বাবার কালের
কত ঘাস লতাগুল্ম রঙঝরা মাটি
সাক্ষাৎ নিয়েছে তারা
রক্তের শর্করা চোখের ক্ষীণতাদৃষ্টি
মধুরাত রক্তচাপ সব খবরই রাখে
পেশাগত পরিচয় নাই
দয়া ও করুণাপ্রার্থী মন
রূপকে প্রতীকে চলে
বড় হওয়ার আগেই বুড়া হয়ে যাই
শ্রমিক কিশোর
চাকরি পাওয়ার আগে
অবসরে চলে যেতে হয়
ঘটনাই সব দুর্ঘটনা বলব কী
জলোবায়ু জলবায়ু নয়
আকাশে আঁচল ভেজা রোদের ধমক
কোনোটাই অনুকূলে নাই
শ্রমিক বালক
প্রবাসবিধবা
ফসলের জমিন অপাঠ্য
মসজিদ বারান্দায়
প্রবীণ লাঠির কাশি
আঁচলে চাবির হাসিখুশি
আয়নায় নোনা জল
বালিশে মরুর তপ্ত গান
ওয়েবক্যামের যুবকেরা
ঝকঝকে রাজপথে
. লুকায় চোখের পরিণতি
এখানে যুবক নাই
ঘরে ঘরে শুনি বিমানের কর্কশতা
গোত্র ভেঙে বংশ তারপরে পরিবার
প্রোষিতভর্তৃকাগণ
জীবনের সম্পন্ন যৌবনে
. প্রবাসবিধবা বুঝি
কত হাহাকার বাতাসের স্রোতে ভাসে
যদি দেখা নাই পাও
পাকা করে দিও আমার কবরখানি
ঘরে যদি কেউ আবার নতুন আসে
ঘরের বাইরে কবরটা রেখো চোখে
. উঠানের এক কোণে
রয়েছে আমার বিশালতা
নিজের বিরেুদ্ধে নিজে
না দাঁড়ালে টিকতে পারে না
আত্মহননের আগে চলে
আত্মযুদ্ধের প্রবাহ
বালিশে জলের নোনারেখা
স্বপ্নের বিলাপ হয়ে থাকে
জন্মান্ধ পথেরা এই
চৌরাস্তায় কথা বলে জেনে নিতে চায়
নিজ নিজ ঠিকানার দিক
এই যে শহরে
ফুটপাথ ধরে হাঁটা গাড়ির হরেনে
চমকে ওঠার সংকীর্ণতা
অথবা গ্রামের পথে
পিচঢালা রোদ ছেড়ে
. ঘাসের ওপর দিয়ে
. ছায়ায় ছায়ায় চলা
এইসব ক্ষুদ্রতার ওপারেই কিন্তু
. রয়েছে আমার বিশালতা
নাহলে কেমন করে
রবীন্দ্রসাম্রাজ্য আর পেশার ক্ষুদ্রতা
একত্রে ধারণ করি
ছায়াতে আগুন জ্বলে
শাবলে দেয়াল ভেঙে
. ইতিহাস মুক্ত করি
ভাঙা দেয়ালের সুড়কি মাথায় তুলে
সেই যে নেমেছি পথে
এ-গলি সে-গলি মহল্লার সীমারেখা
ওয়ার্ড পেরিয়ে নগরীর শেষ বাড়ি
কোথাও বিকানো যায় না দেয়াল ভাঙা
সুড়কি রঙিন
রোদে দাঁড়ালেই ছায়াতে আগুন জ্বলে
বয়সের পোস্টারে রঙিন পোস্টার লেপে
আষাঢ়-শ্রাবণ আসে
পোস্টারে স্বাক্ষর রেখে যায়
. চৈত্র-বৈশাখের হাতে
কিভাবে সতেজ বর্তমান
অনন্তের কারাবাসে যায়
শ্রমজীবী শব্দদের ট্রেড ইউনিয়ন
ভেঙে গেলে
ইতিহাস আর ইতিহাস নয় কোনো