সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কেউ যায় ঘুরতে,সবুজ মাঠ, ফসলের ক্ষেত, নদীর ঢেউ দেখতে, কেউ যায় সিনেমা দেখতে। কেউ শোনে গান। আর কবিরা? এই শুক্রবার দেশের ১৪ নবীন-প্রবীণ কবি মিলে স্বকণ্ঠে পরিবেশন করলেন তাদের কবিতায় চিরবসন্তের চিঠি। ল্যাব এইড ফাউন্ডেশন-এর আয়োজনে শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেল ঠিক ৫ টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ১৪ কবির কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে কবি আবু হাসান শাহরিয়ারে সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ল্যাব এইড গ্রুপ এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ এম শামীম। প্রধান শ্রোতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষাচিত্রী হাসান আজিজুল হক। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কবি কামাল চৌধুরীকে দেওয়া হয় শিল্পী অলকেশ ঘোষ এর হাতে আঁকা কামাল চৌধুরীর ছবির স্কেচ। কবিতা পাঠপর্বের কবি কামাল চৌধুরীকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান শ্রোতা কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক। এরপরপরই বাকি তেরো কবিকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন কবি কামাল চৌধুরী।
কবিদের স্বকণ্ঠে কবিতা পাঠের আগে ৩ জন আবৃত্তিশিল্পী কবি কামাল চৌধুরীর কবিতা আবৃত্তি করেন। আবৃত্তিশিল্পীদের কবিতা আবৃত্তির পর বাঁশি বাজিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন মো. হাসান আলী।
এরপর একে একে কবিতা পাঠ করেন রিঙকু অনিমিখ, হেনরী লুইস, মোস্তাফিজ কারিগর,মোহাম্মদ নূরুল হক, সঞ্জিব পুরোহিত, কাজী নাসির মামুন, সাকিরা পারভিন, রনজু রাইম, রহমান হেনরী, সেলিনা শেলী, ফরিদ কবীর, আসাদ মান্নান, আবু হাসান শাহরিয়ার ও কামাল চৌধুরী। আমন্ত্রিত কবিদের কণ্ঠের চিরবসন্তের চিঠি শোনার পর নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান শ্রোতা হাসান আজিজুল হক বলেন, ‘কবিতা হলো সংগীতের মতো। কবিতার সহজ সরল সারাংশ হয় না। কবিতাকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা যায় না। যে কবিতার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা যায়, সে কবিতা ভালো কবিতা নয়।’ কামাল চৌধুরী অনুভুতি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন,’আজকের বাংলাদেশে বিশ্বমানের কবিতা লেখা হচ্ছে।’