কেন চিন্তাসূত্র?—সাহিত্যের প্রথম পাঠক-সমালোচকের আনন্দ তুলনারহিত। যে কোনো রচনার প্রথম পাঠকই মূলত প্রথম সমালোচক। প্রথম পাঠকই লেখককে তাঁর রচনার ভালোমন্দ দিক নিয়ে সবার আগে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এ ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো—প্রথম পাঠক-সমালোচকের সাহিত্যিক সততা ও নৈতিক সততার ওপর নির্ভর করবে তাঁর অভিমতের গুরুত্বও। সমালোচক যদি বিশেষ কোনো মতবাদের অনুসারী হন, তাহলে স্বভাবতই তাঁর মন্তব্যে ওই মতবাদের ছায়া পড়বে। যিনি কেবল নিবিড় পাঠক—তাঁর নিজস্ব অভিমতে মতবাদের ছাপ পড়লে, সেখানে নৈতিক সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা অসঙ্গত। কিন্তু সমালোচকের মন্তব্যে যদি মতবাদের ছায়া পড়ে, তখন প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকতেই পারে।
শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও চিন্তা জগতের বিভিন্ন সূত্রের সমন্বয়সাধন-চেষ্টা অনুসন্ধিৎসু পাঠকের স্বভাব। একই সঙ্গে নিজের মতকে অন্যের মতের সঙ্গে মিলিয়ে দেখারও ইচ্ছা তাঁর থাকতে পারে। এছাড়া পছন্দের-ভালোলাগা কিছু রচনা একত্রে পাঠের আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে কারও কারও। এই আকাঙ্ক্ষা থেকেই এই চিন্তাসূত্র। এ দিক থেকে চিন্তাসূত্রের প্রথম সংখ্যায় অন্তর্ভুক্ত প্রবন্ধ, গল্প, অনুবাদ, সাক্ষাৎকার, কবিতাগুলোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।
চিন্তাসূত্র-এর পাঠক, লেখক, শুভানুধ্যায়ী ও বিজ্ঞাপনদাতাদের প্রতি রইল অশেষ কৃতজ্ঞতা।